প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ
তারিখ: ৩০ জুলাই ২০২৫
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় চার লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের প্রোগ্রামার-৫ মো. জহির উদ্দিন।
মাউশির সূত্র জানায়, জুলাই মাসে প্রথম ধাপে ৩,৭৮,৯০৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে:
স্কুল পর্যায়ে: ২,৯১,৫১৮ জন
কলেজ পর্যায়ে: ৮৭,৩৮৯ জন
বেতন প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন হলে, আগামী ৪ আগস্ট থেকে শিক্ষকেরা ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) এর মাধ্যমে বেতন পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন জহির উদ্দিন।
এক সময় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত বেতন-ভাতা দেওয়া হতো রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে। এতে শিক্ষকরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চেক উঠাতে হতো, যা সময় ও ভোগান্তির জন্ম দিত।
এই বাস্তবতা পরিবর্তনে গত বছরের ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবসে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়—এমপিওর বেতন ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা EFT সুবিধা পেতে শুরু করেছেন, যা এ খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার জহির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,
“আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের বেতন দ্রুত ছাড় করতে। প্রশাসন শাখা থেকে বেতনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় দ্রুত অনুমোদন দিলে ৪ আগস্টের মধ্যেই শিক্ষকরা টাকা পেয়ে যাবেন।”
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত।
তাদের বেতন সরকারিভাবে ছাড় হলেও, আগে তা পৌছাতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতো।
বর্তমানে ইএফটি চালুর ফলে সেই সময়সীমা কমে এসেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক ডিজিটাল উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্বচ্ছতা ও সময়মতো বেতনপ্রদান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)
ইএমআইএস সেল, মাউশি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা, ৫ অক্টোবর ২০২৪
মাউশির প্রশাসন শাখা
প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফজর | 3:50 AM ভোর |
---|---|
যোহর | 12:04 দুপুর |
আছর | 4:44 PM বিকাল |
মাগরিব | 6:50 PM সন্ধ্যা |
এশা | 8:17 PM রাত |
জুম্মা | 1.30 pm দুপুর |